মোঃ রবিউল ইসলাম মিনাল:: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি কলিমকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৫। ৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার) বিকাল ৪টার দিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানা এলাকার রাজাবাড়ীহাট নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক ৮নং এজাহারনামীয় আসামি মো. কলিম (৩২) কে গ্রেফতার করা হয়। কলিম উপজেলার হাজিবান্দুড়িয়া এলাকার কাজিমুদ্দিনের ছেলে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম শিহাব শেখের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ১৪ বছর বয়সী এক নাবালিকা মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে ভিকটিম তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন ২০ অক্টোবর রাত আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে ভিকটিম শিহাব নিজ বাড়ি বসন্তপুর থেকে তার দুই বন্ধু নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে তিশার সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে বের হয়। পরে রাত আনুমানিক ৮টার দিকে তারা উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের হাজিবান্দুড়িয়া মোড়ে পৌঁছায়। আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা এজাহারনামীয় ৮ জন ও অজ্ঞাতনামা ৮-৯ জন আসামি ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড নিয়ে তার পথরোধ করে গালিগালাজ করতে থাকে। ভিকটিম আপত্তি জানালে আসামিরা তাকে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ে শিহাব প্রাণ বাঁচাতে পাশের পুকুরে লাফ দেয়। এসময় শিহাবের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ভিকটিমকে উদ্ধার করে রাত ৯টার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ নভেম্বর দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে শিহাব মারা যায়। ঘটনার পর নিহতের পিতা বাদী হয়ে গোদাগাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাবও ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৫, সিপিএসসি, রাজশাহী ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ৪ নভেম্বর রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানাধীন রাজাবাড়ীহাট এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি কলিমকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।